ছেলেদের নিয়ে কিছু কষ্টের কথা | Bangla Sad Story
ছেলেদের সচরাচর কাঁদতে হয় না, ছেলেদের চোখ দিয়ে যদি ভুল করে কখনো পানি চলে আসে, চুপিচুপি হাতের উল্টো পিঠ দিয়ে মুছে ফেলতে হয়, ভুল করেও চোখের পানি কাউকে দেখানো যাবে না, কি সাংঘাতিক একটি নিয়ম করা হয়েছে।
ছেলেরা জন্মগত ভাবেই নিস্তর হয়ে জন্মাতে হয়, তা না হলে তাদের জন্মানোর কোনো অধিকার নেই, চোখের সামনে কোনো বাবা তার সন্তানের কবর দেখে খুব কষ্ট পেয়েও চুপ করে থাকে, এমন বাবার সাথে আমি কয়েকদিন আগেও কথা বলেছি।
সেই লোকটি তার মেয়ের কবর দেখিয়ে আমাকে বলেছে, ঐ দেখো এটি আমার মেয়ের কবর, আমি সেই মানুষটির চোখে সরাসরি তাকিয়ে দেখেছি, তার চোখে কোনো পানি নেই, কিন্তু কয়েকবার ডুক গিললো, তার রক্তে মিশে থাকা প্রোলাটিন গিলে ফেলেছে।
এই প্রোলাটিন যখন তখন আসে না, সেই মানুষটির তখন এসেছে, আর সে আমার দিকে তাকিয়ে চট করে গিলে ফেলেছে, প্রচণ্ড যন্ত্রণায় কুঁকড়ে যাওয়ার পরেও সে বলবে না, আমার খুব কষ্ট হচ্ছে আমার হাতটি একটু ধরবে, এরা পুরো দমে নিজেদের পৃথিবীর মধ্যে চলে।
শক্ত টাইপের কোনো কিছু দিয়ে ছেলেদের বানানো হয়েছে, কষ্টে আঘাতের পর আঘাত পেলেও, সহজে এদের চোখ দিয়ে পানি পড়বে না, তার কণ্ঠস্বরে কাঁপাকাঁপি ভাব আসলেও, তারা কখনো কাউকে বুঝতে দিবে না, সে যে কতো কষ্ট আছে।
রক্তের এনজাইমে চোখের পানির হরমোন ব্যবহার করা যাবে না, তার আগেই কান্নাকে হাঁসির এনজাইমে মেকি হাঁসির নিয়ম করেছে, জন্মের পর ছেলেদেরকে একটি মন্ত্র পড়ানো হয়, যার নাম হচ্ছে ছেলেরা কখনই কাঁদে না।
আমাদের এই পোস্টটি আপনার কাছে কেমন লেগেছে দয়াকরে কমেন্টে বলে দিবেন, আর পোস্টটি ভালো লেগে থাকলে, অবশ্যই আপনার প্রিয় মানুষটির কাছে, এই পোস্টটি শেয়ার করে দিবেন।
পরবর্তী পোস্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন, ধন্যবাদ
Script: Collected